বর্তমান সময়ে তরুনদের কাছে সবচাইতে আলোচিত একটি শব্দ টি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) । ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এর অর্থ হলো স্বাধীন বা মুক্তপেশা। অন্যভাবে বলা যায়, নির্দিষ্ট কোন প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করা কে ফ্রিল্যান্সিং বলে। এ ধরণের পেশাজীবিকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সার (Freelancer) বা স্বাধীনপেশাজীবি।
চাকরীজীবিদের মতো এরা বেতনভুক্ত নয়। কাজ ও চুক্তির উপর নির্ভরকরে আয়ের পরিমাণ কম বা অনেক বেশি হতে পারে, তবে স্বাধীনতা আছে, ইচ্ছা মতো ইনকামের সুযোগ ও আছে। এজন্য স্বাধীনমনা লোকদের আয়ের জন্য এটা একটা।
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে যা যা প্রয়োজনঃ
১. ভালো কনফিগারেশনের একটি ল্যাপটপ অথবা ডেক্সটপ কম্পিউটার ।
২. ভালো মানের ইন্টারনেট সংযোগ ।
৩. কাজ করার জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ ।
৪. কাজ শিখা ও শিখার পর অনুশীলন করার জন্য প্রয়োজনীয় সময় ।
সুতরাং, প্রাথমিক অবস্থায় আপনার এগুলো থাকলেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং জগতে প্রবেশ করতে পারেন।
ইন্টারনেটে চাকরি বা ফ্রীল্যান্সিং?
ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই বিভিন্ন দেশের কোম্পানীর সাথে কাজ করতে পারি। নতুনদের কাছে অনেকটা আশ্চর্যের শোনালেও এটাই সত্য। ইন্টারনেটের চাকরিটা অনেকটা আমাদের বাস্তব জীবনের মত হলেও এখানে রয়েছে অনেক সুবিধা। রিয়েল লাইফে চাকরি করতে প্রয়োজন সার্টিফিকেট, লিঙ্ক, ঘুষ আরও অনেক কিছু। কিন্তু ইন্টারনেটে চাকরি করতে গেলে এই গুলোর কোন প্রয়োজন নেই, এখানে দরকার শুধু দক্ষতা।
বাস্তব জীবনে যেমন চাকরির একটা গদবাধা সময় থাকে, নিয়ম থাকে, এখানে কিন্তু এমন কিছুই নেই। এখানে আপনি সম্পূর্ণই স্বাধীন বা মুক্ত। আর এই জন্যই এই চাকরিকে বলা হয়ে থাকে ফ্রীল্যান্সিং বা মুক্তপেশা। শুধুমাত্র ভালভাবে কাজ জানা থাকলে আপনিও এই সেক্টরে কাজ করতে পারেন। বর্তমানে আমাদের দেশে এই রকম কয়েক লক্ষ ফ্রীল্যান্সার আছেন যারা অনলাইন থেকে এইভাবে চাকুরি বা ফ্রীল্যান্সিং করে আয় করছেন। এর প্রমান কিন্তু এই পোস্টের উপরেই দেয়া আছে। যাই হোক, তাহলে চলুন এবার দেখি কোথায় এবং কিভাবে এই চাকরি পাওয়া যায়।
সুবিধাজনক পন্থাঃ
আধুনিক যুগে বেশিরভাগ মুক্তপেশার কাজগুলো ইন্টারনেট মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। ফলে মুক্ত পেশাজীবীরা ঘরে বসেই তাদের কাজ করে উপার্জন করতে পারেন। এ পেশার মাধ্যমে অনেকে প্রচলিত চাকরি থেকে বেশি আয় করে থাকেন, তবে তা আপেক্ষিক। ইন্টারনেটভিত্তিক কাজ হওয়াতে এ পেশার মাধ্যমে দেশি-বিদেশি হাজারো ক্লায়েন্টের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ ঘটে। যার কারণে বর্তমানে ছাত্র- ছাত্রী এবং অনেক চাকুরীজীবি এই পেশায় আসছেন।
বর্তমানে আউটসোর্সিং হচ্ছে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের তৃতীয় ক্ষেত্র। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে মাল্টি বিলিয়ন ডলারের একটা বিশাল বাজার।
আউটসোর্সিং কি ?
একটু ভাবুন তো আপনার একটি কোম্পানি আছে আপনি কিছু পোস্টার তৈরী করা প্রয়োজন এখন আপনি কি করবেন ? নিশ্চই কোন প্রিন্টিং কোম্পানি অথবা যারা এধরনের কাজ করবেন তাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। এখন একটা প্রশ্ন আপনি কেন নিজে কেন করছেন না ? উত্তর টি হচ্ছে আপনি এই সম্পর্কে কিছুই জানেন না। কিন্তু যদি আপনি কাজটি করতে যেতেন তাহলে কি কি জিনিস আপনার দরকার হত।
১. আপনার একজন ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনার দরকার হত।
২. একটা ছাপাখানা দরকার হত।
৩. আপনার কাটিং মেশিন দরকার হত।
মোটামোটি এগুলো হলে আপনার পোস্টার টি আপনি তৈরী করতে পারেন। আপনার ২০০০ পোস্টার করার জন্য কত কিছুই না দরকার হত। কিন্তু আপনি যদি অন্য কোন কোম্পানি যারা এই ধরনের কাজটি করে তাদের কে দেন তারা আপনার কাজটি করে দেবে খুব সহজে এটা ও এক ধরনের আউটসোর্সিং। একটি কোম্পানির কাজ অন্য কোন কোম্পানি কে দিয়ে করিয়ে নেয়া। আরো সহজ ভাবে যদি বলতে যাই তাহলে অন্য কোন দেশের অন্য কারো কাজ বাড়িতে বসে ইন্টারনেট এর মাধমে করাই হচ্ছে আউটসোর্সিং।
1 Comment
Mikaela Norman
I like the efforts you have put in this, regards for all the great content.